বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গুম, খুন, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের সরকার গঠন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় দলটি দেশে সন্ত্রাস ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এরপর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দলটি ক্ষমতাচ্যুত হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও ফৌজদারি আদালতে বহু মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলার বিচারকাজ প্রভাবিত করতে এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে তারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, উসকানিমূলক প্রচার, সামাজিক মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রচার এবং সম্পত্তি ধ্বংসের চেষ্টা করছে।
সরকারি তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ভিত্তিতে এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ ও সংশোধিত অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সকল প্রকাশনা, প্রচার, সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অনলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, দলটির বিরুদ্ধে বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।