জাতিসংঘ মনে করে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা সরকারের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যা দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান স্পষ্ট করে আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
বুধবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
গোয়েন লুইস বলেন, “নারী-পুরুষ, জাতিসত্তা নির্বিশেষে সমাজের সব অংশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে দেশের সব মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ। তবে নির্বাচন কবে হবে, তা ঠিক করবে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ।”
২০২৩ সালের জুলাই ও আগস্টে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে এবং জাতিসংঘ সেই প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার আগে, না নির্বাচন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্তের ওপর। জাতিসংঘ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং ভবিষ্যতেও এই সম্পৃক্ততা আরও গভীর হবে।”
রাখাইনে মানবিক করিডোর খোলার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন। উভয় দেশ রাজি হলে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘ একতরফাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও জানান, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি অফিস চালুর প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আলোচনায় ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনও বক্তব্য রাখেন।