কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বাম পাশের একটি চাকা খুলে পড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করেছে। শুক্রবার দুপুর ২টা ২২ মিনিটে ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর পরিচালিত ফ্লাইটটি প্রথম চেষ্টাতেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে নামতে সক্ষম হয়।
দুর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে অবতরণের ঠিক আগে তিন মিনিট ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাকর। ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে পাইলটের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ চলছিল। রানওয়ে ১৪-তে অবতরণের বিষয়ে কনফার্মেশন চাইলে পাইলট জামিল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, “অ্যাফার্ম”। এটিসি থেকে বলা হয়, “রানওয়ে প্রস্তুত, আপনি অবতরণ করতে পারেন।”
দুপুর ২টা ২২ মিনিটে ফ্লাইটটি রানওয়েতে নামার পরপরই চারপাশে প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এবং হাততালি দেন।
অবতরণের পর ক্যাপ্টেন জামিল এটিসিকে জানান, “আলহামদুলিল্লাহ, আমরা নিরাপদে অবতরণ করেছি। কন্ট্রোল টাওয়ারকে অনেক ধন্যবাদ, আপনাদের সহযোগিতা ছিল প্রশংসনীয়।” এটিসি নিশ্চিত হতে চায় সবকিছু স্বাভাবিক কি না। পাইলট জবাব দেন, “এভ্রিথিং ইজ অ্যাবসোলুটলি ফাইন।”
এ সময় ক্যাপ্টেন জামিল কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের এটিসিকেও ধন্যবাদ জানানোর অনুরোধ করেন। এটিসি জানায়, বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত পাইলট আকাশে চক্কর দিয়ে তেল খরচ করেন, কিন্তু ক্যাপ্টেন জামিল ঝুঁকি নিয়েও প্রথম চেষ্টাতেই অবতরণ করেন, ফলে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকায় তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহর রয়েছে ৮ হাজার ঘণ্টার ফ্লাইং অভিজ্ঞতা। তার ও ক্রুদের দক্ষতায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
অভিযাত্রীরা পাইলট ও ক্রুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ইমারজেন্সি ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ জানান। এ ঘটনায় বিমানের চিফ অব সেইফটি ক্যাপ্টেন এনাম তালুকদারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।