খাবার মানুষের জীবনে আল্লাহ তাআলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত। ইসলামি আদর্শ অনুযায়ী খাদ্য উপার্জন ও গ্রহণ করলে তা শুধু দেহের পুষ্টিই নয়, বরং ইবাদত হিসেবেও গণ্য হয়।
খাবার শুরু করার আগে:
প্রত্যেক কাজের সূচনায় “বিসমিল্লাহ” বলা সুন্নত। খাবার শুরু করার সময়ও এই নিয়ম পালন করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“একজন মুসলমান তার প্রতিটি কাজে সওয়াব পেতে পারে, এমনকি স্ত্রীকে মুখে তুলে দেওয়া এক লোকমা খাবারেও।”
(মুসনাদে আহমদ: ১৫৩১)
খাবার সামনে আসলে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তে বলতেন:
اللَّهُمَّ بارِكْ لَنا فِيما رَزَقْتَنا، وَقِنا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিমা রাজাকতানা ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যা দিয়েছেন, তাতে বরকত দিন এবং আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।
খাবার শুরু করার সময় আরেকটি দোয়া পড়া যায়:
بِسْمِ اللَّهِ وَعَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহর নামে খাবার শুরু করছি এবং তাঁর বরকত কামনা করছি।
যদি খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যান:
তবে খাওয়ার মাঝখানে স্মরণ হলে এই দোয়া পড়বেন:
بِسْمِ اللَّهِ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহ।
অর্থ: আল্লাহর নামে খাওয়া শুরু করছি—আরম্ভেও আল্লাহর নাম, শেষেও আল্লাহর নাম।
(আবু দাউদ, আহমদ, দারেমি)
খাবার শেষে দোয়া:
খাওয়ার পর রাসুল (সা.) যে দোয়া পড়তেন:
الْـحَمْـدُ للهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا وَرَوَانَا وَجَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহি আতআমানা, ওয়াসাকানা, ওয়াকাফানা, ওয়াআওয়ানা, ওয়া আরওয়ানা, ওয়াজা আলানা মিনাল মুসলিমীন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের আহার ও পান করিয়েছেন, প্রয়োজন পূরণ করেছেন, আশ্রয় দিয়েছেন, তৃষ্ণা মিটিয়েছেন এবং মুসলমান হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ইসলামের নির্দেশিত এ দোয়াগুলো মুখস্থ ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।