জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার ভোরে পাকিস্তানের একাধিক শহরে সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
ভারত ছয়টি এলাকায়—পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরিদকে, শিয়ালকোট, শকরগড় এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদ—মোট ২৪টি বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।
জেনারেল শরীফ জানান, আহমেদপুর এলাকায় এক শিশুসহ ১৩ জন নিহত হন, আর মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে দুটি মসজিদে চালানো হামলায় আরও প্রাণহানি ঘটে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঞ্জাব প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে পাকিস্তান সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং হাসপাতালসহ জরুরি সেবাসমূহ সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে যে তাদের পাল্টা প্রতিরোধে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, গুলি করে ভূপাতিত করা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফায়েল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ সিরিজের বিমান রয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সীমান্তে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে অন্তত ১০ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।