কাশ্মীর সীমান্তে ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান বুধবার (৭ মে) রাতে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফায়েল, একটি রাশিয়ান এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু রাফায়েল হারিয়েই ভারতের প্রায় ৮৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, প্রতিটি রাফায়েল বিমানের আনুমানিক দাম ২৮৮ মিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদে ভারত চালিয়েছে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসনের তীব্র ও নির্ভুল জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।”
এই উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও কূটনৈতিক আলোচনায় সক্রিয় হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিককে ফোন করে দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অন্যদিকে ভারত সরকার ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। অভিযানের আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই হামলায় পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি।
পাকিস্তান এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” ও “যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য” বলে উল্লেখ করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, “ভারতের এই আগ্রাসনের জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো আমাদের অধিকার।”