পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং গোটা জাতি সেনাবাহিনীর পাশে ঐক্যবদ্ধ।
সোমবার (৫ মে) পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী সবসময় শত্রুর মোকাবিলায় তৈরি। পাকিস্তান শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা চায়, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শক্তভাবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।”
তিনি জানান, পেহেলগাম হামলা নিয়ে পাকিস্তান উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ভারতের ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নেওয়া আক্রমণাত্মক পদক্ষেপগুলোকে “দুঃখজনক” বলেও অভিহিত করেন শেহবাজ।
এছাড়া হামলার ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানকে জড়ানোর ভারতের “অবৈধ প্রচেষ্টা” দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যানও করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ।
তিনি আরও বলেন, ভারতের একতরফা ও অবৈধভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করাকে “পানি-আগ্রাসন” হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের জন্য “রেড লাইন”। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান কোনও অবস্থাতেই এই পদক্ষেপ মেনে নেবে না।
শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে ভারতের আগ্রাসন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা যায়। তিনি জানান, তিনি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং পাকিস্তানের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, পাকিস্তান এই বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদেও তুলবে, যাতে ভারতের “সত্যিকারের চেহারা” এবং “ষড়যন্ত্র” বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হয়।
বৈঠকে পিপিপি প্রতিনিধি দলও জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে পুরোপুরি একাত্মতার বার্তা দেয়। দলটি পাকিস্তানের সাহসী সেনাবাহিনীর প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের যুদ্ধোন্মত্ত মনোভাব তুলে ধরতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করে।