যশোরের মনিরামপুরের পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয় কিছুদিন আগে। তবে সে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী।
জানা গেছে, কমিটির সহসভাপতি আশরাফ আলী ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম ২০১৪ সালের ৮ জুলাই ততকালীন স্বতন্ত্র এমপি স্বপন ভট্টাচার্যের হাতে বাঁধাঘাাটা বসু মোল্যার চাতালে জনসভায় ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
কোষাধ্যক্ষ আরিফ মোল্লা মনিরামপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুখ নির্বাচিত হলে যশোর বিমান বন্দরে ৭/৮টি মাইক্রো বাস নিয়ে রিসিভ করতে যান।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাফিজুর রহমান সামান্য রাজমিস্ত্রির লেবার থেকে আওয়ামী ঠিকাদার হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। পৌর শহরে গড়েছেন আলিশান বাড়ি।
থানা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবালের বাসার কর্মচারী হারুন হয়েছেন সহ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক। শহীদ ইকবালের আপন ছোট ভাই তুহিন হাসান যুগ্ম সম্পাদক।
এ বিষয়ে জানতে দায়িত্বশীলদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
এদিকে মনিরামপুর বিএনপির বিরুদ্ধে আছে আওয়ামী পুনর্বাসন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। মনিরামপুর বিএনপির সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান মিন্টুসহ সভাপতি শহীদ ইকবালের ভাগ্নে আগরহাটির ফারুক ও মোটর শ্রমিক দলের আলমগীর হোসেন টাকার বিনিময়ে আওয়ামী পুনর্বাসন করছেন। তারা পুরো উপজেলাজুড়ে চাঁদাবাজি করছেন ও থানায় গিয়ে পুলিশি কাজে বাধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি বাধা প্রদানকারী বড় বড় ব্যবসায়ীদের থেকে বিপুল টাকা নিয়ে তাদেরকে পুনর্বাসনে ব্যস্ত মনিরামপুর বিএনপি। ৫ আগস্টে বিক্ষুব্ধ জনতা স্বৈরাচারের দোসরদের কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেন। কিন্তু পরে তারা বিএনপি নেতাদেরকে বিপুল টাকা দিয়ে আবারও ব্যবসা করে যাচ্ছেন ও আওয়ামী পুনর্বাসনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সবার সামনে এগুলো ঘটে চললেও প্রশাসন ও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা নিশ্চুপ।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, দলের বড় বড় নেতাদের জন্য আমাদের নাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা বিএনপির রাজনীতি করে বাড়ি থেকে পলাতক থেকেছি। অথচ, বড় বড় পদে যারা আছেন তারা আওয়ামী লীগের থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে সুবিধা দিচ্ছেন। তাদেরকে পুনর্বাসন করে যাচ্ছেন।