আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

Spread the love

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রম জনগণের মনে সংশয় তৈরি করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করছে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টাও চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ী বার্ক মিলনায়তনে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম আয়োজিত ‘ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি জানান, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি এখনো অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তবে, সরকারের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে তাদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

তারেক রহমান গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পুলিশের অভিযান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে র‌্যাব সদস্যরা সাজিদুল ইসলাম সুমনকে গুম করে, যার কোনো হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। স্বৈরাচারী শাসনামলে এমন অসংখ্য মানুষ গুম, খুন ও অপহরণের শিকার হয়েছেন। এর প্রতিবাদে সুমনের বোনের নেতৃত্বে ২০১৪ সালে ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গঠিত হয়। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রশাসন সুমনের বোনের বাসায় অভিযান চালিয়েছে, অথচ তারা দাবি করছে সুমন সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। এছাড়া, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে গেলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা জানত না বলে দাবি করছে।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এই ঘটনাগুলো জনমনে সন্দেহ তৈরি করছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার আসলে কী জানে? তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে স্বৈরাচারী শাসক ও তাদের সহযোগীদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে এবং স্বৈরাচারীদের সহযোগীদের পুনর্বাসনের পথ তৈরি করছে।

তারেক রহমান আরও বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকলে দেশের কোনো নাগরিকই নিরাপদ নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারই নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তিনি মনে করেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অক্ষুণ্ন রেখে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে বিএনপি সরকারের কাছে সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, আব্দুস সালাম, এবিএম আব্দুস সাত্তার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এনডি ক্রুজ এবং ফোরামের মহাসচিব অনিল লিও কস্তা। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

Spread the loveকৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর প্রথম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *