জাতিংসঘের আণবিক সংস্থার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে তেহেরান ৫০ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে। খবর আল জাজিরা
শনিবার (৩১ মে) ইরান জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) যে অভিযোগ করেছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
ইরানের বিরুদ্ধে এমন এক সময় এই অভিযোগ আনা হয়েছে, যখন পারমাণবিক ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও তেহেরানের মধ্যে আলোচনা চলছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তেহেরানে গিয়ে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদি মার্কিন প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। আমরা দ্রুতই এর প্রতিক্রিয়া জানাব।
আরাকচি বলেছেন, মার্কিন এই প্রস্তাব যদি ইরানী জনগণের স্বার্থ এবং অধিকার বজায় রাখার জন্য হয়, তাহলে এর বিষয়ে অব্যশই মন্তব্য করা হবে।
তেহেরান দাবি করে আসছে, তারা শান্তপূর্ণ উদ্দেশে পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, ইরান ১৭ মে পর্যন্ত ৪০৮.৬ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। যা প্রায় ৬০ শতাংশ। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদনে দেখা গেছে ইরান ১৩৩.৮ কেজি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করে ৫০ শতাংশে উন্নিত করেছে।
একাধিক সংস্থা সংস্থা জানিয়েছে তারা বিস্তৃত পরিসরে একটি গোপন প্রতিবেদন দেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে- ইরান গোপণীয়ভাবে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। যা আইএইএ’র কাছে প্রকাশ করা হয়নি। যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে তদন্তের অধীনে ছিল। তেহেরানকে এসব কর্মকাণ্ড থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রতিবেদনের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সংস্থাটি ইহুদি শাসকদের (ইসরায়েল) দেয়া মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করেছে। এগুলো পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভিত্তিহীন।