যশোরের কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বুলবুল কুদ্দুস। স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে যার খ্যাতি উপজেলাজুড়ে। ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর খোলস পালটে নতুন রঙ ধরেছেন তিনি।
জানা গেছে, কেশবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ এস কে আবদুল ওয়াহাবের ঘনিষ্টজন ছিলেন বুলবুল। শেখ আব্দুল ওহাব ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে মনোনায়ন নিয়ে যশোর-৬ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সংসদে সরকারি দলের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার পরিচয়ে কেশবপুর কলেজে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতেন বুলবুল।
সে সময় তার বিরুদ্ধে কলেজের দপ্তরি কাম নাইট গার্ডকে মেরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে। সে ঘটনায় দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ ছিল বুলবুলের। পরে বিভিন্ন মহলে তদবির করে ও টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন তিনি।

পরে কেশবপুরের এমপি ইসমত আরা সাদেক ক্ষমতায় আসলে একটু চাপে পড়েন বুলবুল। কিন্তু তার সুকৌশলী বুদ্ধির জেরে তাকেও হাত করে নেন তিনি।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে খুব ভালোভাবে রপ্ত করেছেন বুলবুল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে ছবি তুলে নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট করে নিজেকে সবার সামনে ক্ষমতাধর হিসেবে জাহির করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেশবপুর কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা যারা ভিন্নমত পোষণ করতাম তারা ছিলাম বুলবুলের চোখের কাটা। নানা সময় নানা ভাবে আমাদেরকে হেনস্থা করতেন তিনি। কলেজের প্রতিটা বিষয়েও খবরদারি করতেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে তার সখ্যতার কারণে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারত না।
তারা জানান, অবাক করা বিষয় ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরও থেমে নেই বুলবুলের দৌরাত্ম। তিনি এখন স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে চলাফেরা শুরু করেছেন। এখনো কলেজে সমান দাপট দেখাতে চেষ্টা করছেন তিনি, যা খুবই দুঃখজনক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে বুলবুল কুদ্দুসের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।