আন্দোলনরত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। এনবিআর বিলুপ্ত করে আলাদা দুটি সংস্থা গঠনের প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এনবিআর আর ভাগ হচ্ছে না।
রোববার (২৫ মে) রাতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন আপাতত স্থগিতের দিকে যাচ্ছে। এক বিবৃতির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
ঐক্য পরিষদের একাধিক নেতা কালবেলাকে জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের অধিকাংশ দাবির বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। মূল দাবি ছিল এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং এনবিআরকে স্বতন্ত্র, বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা—যার প্রতি সরকার সম্মতি দিয়েছে।
এর আগে ১৩ দিন ধরে কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবস্থান ধর্মঘট, কলমবিরতি, সীমিত ও পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পর রোববারই সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন তারা। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের হুমকিতে সরকারের টনক নড়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় রাতেই জানায়, এনবিআরের কাঠামো ভেঙে না দিয়ে এটি একটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ সিদ্ধান্তের কথা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল:
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল,
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ,
সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ ওয়েবসাইটে প্রকাশ,
সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা গঠন।
দাবিগুলোর প্রতি সরকারের সম্মতির ফলে আন্দোলন স্থগিত হলেও সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা সতর্ক পর্যবেক্ষণে থাকবেন।