গেল সপ্তাহে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই আঘাত ভুলতে না পারতেই এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ হেরে টাইগাররা। শুক্রবার (৩০ মে) টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়। সেখানে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
টানা দুই ম্যাচ হারের ফলে সিরিজটি ইতোমধ্যে টাইগারদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। প্রধানত ব্যাটিংয়ের দুর্বলতার কারণেই হারের মুখে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ১৯ বল খেলেন ৩৩ রান করে আউট হলেও এরপর কেউ হাল ধরতে পারেনি। পারভেজ ইমন, লিটন দাস ও জাকের আলি ব্যর্থ হন ব্যাট হাতে।
শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ রান ও তানজিম হাসান সাকিব ৩১ বল খেলে ৫০ রান যোগ করে হারের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছেন টাইগাররা। বাংলাদেশ ইনিংস শেষ হয় ১৪৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে আবরার আহমেদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলাররা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাকিস্তানের ব্যাটারদের সামনে বল ফেলার সুযোগ কম পাচ্ছিলেন তারা। রিশাদ হোসেন ও হাসান মাহমুদের সাদামাটা বোলিংয়ের কারণে পাকিস্তান বড় সংগ্রহ গড়েছে। লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন শাহিবজাদা ফারহান। বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব ২টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটাররা অধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে। নতুন বলে বাংলাদেশের কোনো বোলার সুবিধা নিতে পারেননি। এছাড়া বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে সফরকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়; প্রথম ওভারেই একটি ক্যাচও মিস করে।
তবে দ্বিতীয় ওভারে রান আউটের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট তুলে নেয়। সাইম আইয়ুব তৃতীয় রানের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন, কিন্তু রান হওয়া সম্ভব না বুঝে ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায়।
১২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হারিস ও শাহিবজাদা ফারহান দলকে শক্ত ভিত্তি দেন। হারিস ২৫ বলে ৪১ রান করেন, আর ফারহান ৪১ বলে ৭৪ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া হাসান নাওয়াজ অপরাজিত ৫০ রান করেন। শেষ দিকে ১২ বলে ১৯ রান করেন সালমান আলি আগা। পাকিস্তান দুইশোর বেশি রান সংগ্রহ করে ইনিংস শেষ করে।