কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নগর মোহাম্মদপুরের ক্যানেলপাড়া এলাকায় খামারি আবুল কাশেমের খামারে একটি তিন বছর বয়সী পাঁঠা প্রতিদিন আধা কেজি দুধ দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এই অস্বাভাবিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। উৎসুক জনতা কালো রঙের এই ছাগলটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁঠাটিকে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়েছে। জনতার অনুরোধে খামারির স্ত্রী সেলিনা বেগম দুধ সংগ্রহ করে দেখান। তিনি জানান, তিনি নিয়মিতভাবে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করছেন। অনেকে কৌতূহলবশত এই দুধ খাচ্ছেন বা বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
আবুল কাশেম জানান, তার খামারে ৫০-৬০টি পাঁঠা রয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি এই পাঁঠাটির ওলানে দুধের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। হাত দিয়ে চাপ দিতেই দুধ বের হতে শুরু করে। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম।”
এই ঘটনা অনেকের কাছে অলৌকিক মনে হলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “এটি একটি বিরল ঘটনা, তবে অলৌকিক নয়। আমরা বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছি। এটি জেনেটিক বা হরমোনজনিত কারণে হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পুরুষ ছাগলের শরীরেও দুধ উৎপন্ন হতে পারে।”
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, দুধটি খাওয়ার উপযোগী কি না, তা নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরি পরীক্ষার প্রয়োজন। তিনি স্থানীয়দের এই দুধ খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ক্যানেলপাড়া এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। অনেকে এটিকে একটি বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে দেখছেন এবং পাঁঠাটির দুধ দেখতে ও জানতে আগ্রহী হচ্ছেন।
যদিও এই ঘটনা স্থানীয়দের কাছে অভাবনীয় মনে হচ্ছে, তবে বিজ্ঞান এর ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে, দুধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন। এই ঘটনা কুষ্টিয়ার ক্যানেলপাড়াকে সাময়িকভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।