খাবার গ্রহণে নবীজির (সা.) সুন্নত ও দোআ

জীবনের প্রতিটি দিকের মতোই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হাদিস শরিফে খাবার খাওয়ার আগে, খাওয়ার সময় ও পরে কীভাবে আচরণ করতে হবে—তা স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে।

খাবার আসার সময় দোআ:
নবী করিম (সা.) খাবার সামনে এলে এই দোআ পাঠ করতেন—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিমা রাযাকতানা, ওয়াকিনা আযাবান্নার
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যেসব জীবিকা দান করেছেন, তাতে বরকত দিন এবং আমাদের জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
(সূত্র: আল-আযকারুন নবাবিয়া, হাদিস: ৫৫৬)

খাবার শুরুর দোআ:
খাবার খাওয়ার শুরুতে “বিসমিল্লাহ” বলা সুন্নত। নবীজী (সা.) এই দোআ পড়তেন—
আরবি: بسم الله وعلى بركة الله
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারকাতিল্লাহ
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং তাঁর বরকতের আশায়।

ভুলে গেলে:
যদি কেউ খাওয়ার শুরুতে “বিসমিল্লাহ” বলা ভুলে যায়, তবে খাওয়ার মাঝখানে স্মরণ হলে এই দোআ পড়বে—
আরবি: بسم الله أوله وآخره
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহ
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি; শুরুতে যেমন, শেষেও তেমনি আল্লাহর নামে।

খাবার শেষে দোআ:
খানা খাওয়ার পর রাসুল (সা.) এই দোআ পড়তেন—
আরবি: الحمد لله الذي أطعمنا وسقانا وكفانا وآوانا وروانا وجعلنا من المسلمين
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহি আতআমানা, ওয়াসাকানা, ওয়াকাফানা, ওয়া আয়ানা, ওয়া আরওয়ানা, ওয়াজা আলানা মিনাল মুসলিমিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের খাওয়ালেন, পান করালেন, আমাদের চাহিদা পূর্ণ করলেন, বাসস্থান দিলেন, তৃপ্ত করলেন এবং আমাদের মুসলমান বানালেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর এসব সুন্নতের ওপর আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।