২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচারিত বক্তৃতায় তিনি এই বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ৫৪তম বাজেট।
এই বাজেটে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনা রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠিত হয়েছে এবং গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলমান।”
তিনি জানান, শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য শিগগিরই ভাতা প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে এবং চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালু করা হবে।
এবারের বাজেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় কমানো হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাস্তবতার আলোকে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ, তাই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে।
স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনো অর্থবছরের বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় কমলো।
এর আগে, ২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সর্বশেষ সংসদের বাইরে বাজেট পেশ করা হয়েছিল। সেই সময় অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।
বর্তমান বাজেট উপস্থাপনের পরবর্তী ধাপে ৩০ জুন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে রাজস্ব ও শুল্ক-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো ২ জুন থেকেই কার্যকর হয়েছে।