বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে। শুক্রবার (২ মে) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৬ সেন্ট কমে ৬১.৫৭ ডলারে নেমে আসে।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দর কমে ৫৮.৬৩ ডলার হয়। সপ্তাহজুড়ে দুই সূচকের দামই প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে, যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন।
বিশ্লেষকদের মতে, দাম কমার পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ—বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনা, ওপেক প্লাস বৈঠকের আগে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকট।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার সম্ভাবনা থাকলেও তা অনিশ্চিত। অনিক্স ক্যাপিটালের হ্যারি চিলিংগুইরিয়ানের ভাষায়, “এটা যেন এক ধাপ এগিয়ে, দুই ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার মতো।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরানবিরোধী হুমকি—বিশেষ করে যারা ইরানের কাছ থেকে তেল কিনবে, তাদের ওপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞার হুমকি—বিশ্ববাজারে বাড়তি উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। চীন, যেটি ইরানের প্রধান তেল ক্রেতা, সেই চাপের কেন্দ্রে রয়েছে।
ফিচ-এর অধীনস্থ বিএমআই জানিয়েছে, ওপেক প্লাস সদস্যদের বাইরে উৎপাদন বাড়লেও বৈশ্বিক চাহিদা কাঠামোগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মূল্যপতনের চাপ থেকে ওপেক প্লাস মুক্তি পাবে না।