দুই ঘণ্টার মধ্যেই ‘ভারতের কান্না পৌঁছে গিয়েছিল ওয়াশিংটনে’

Spread the love

পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে এমন শক্ত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে পাকিস্তান, যার প্রভাব মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে।

নারোওয়ালে একটি উদ্ধার সেবা কেন্দ্র উদ্বোধনকালে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের নেতৃত্ব এখন আর হামলা করবো কি না—সে প্রশ্নে দ্বিধান্বিত হয় না। সিদ্ধান্ত নিতে ও প্রতিক্রিয়া দেখাতে আমরা সক্ষম। আমাদের সেনাবাহিনীর দক্ষতা প্রমাণ করেছে, যুদ্ধ কেবল সংখ্যা নয়, দক্ষতার খেলাও বটে।”

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের পেশাদার সেনাবাহিনী ভারতের মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানগুলোকে ধ্বংস করে ‘জং ধরা ধাতব টুকরো’তে পরিণত করেছে।

এদিকে, পাকিস্তান সরকার সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের সাফল্য তুলে ধরে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ নামে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দাবি করা হয়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলা একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ ছিল—যা পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করার উদ্দেশ্যে সাজানো হয়।

পাকিস্তানের মতে, হামলার ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, যা ঘটনা তদন্তের আগেই পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়। পাকিস্তান একটি আন্তর্জাতিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানালেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর ভারত মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফ্‌ফরাবাদে বিমান হামলা চালায়, যেখানে বেসামরিক স্থাপনা ও ধর্মীয় কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জবাবে পাকিস্তান ‘সীমিত ও লক্ষ্যভিত্তিক’ সামরিক প্রতিক্রিয়া দেয়—যা শুধু ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল।

পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করেছে এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ভারতের ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়ানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পেহেলগাম পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও, ভারতীয় মিডিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই দাবিতে অসঙ্গতি চিহ্নিত করেছে।

প্রতিবেদনের শেষ অংশে পাকিস্তান জানায়, তারা শান্তির পক্ষপাতী, তবে নিজেদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে।

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাড়ছে বিক্ষোভ, ২০০০ সেনা মোতায়েন

Spread the loveযুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *