এপ্রিল মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ছুঁয়েছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়। মূল্যস্ফীতি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। এই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের স্বর্ণবাজারেও।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সর্বশেষ তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরির দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা।
এর আগে, ২২ এপ্রিল স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা ছিল, যা ২৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল। সে তুলনায় এবার কিছুটা দাম কমলেও তা এখনো রেকর্ড পর্যায়েই রয়েছে।
বিশ্ববাজারে চলতি বছরে স্বর্ণের দাম প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমায় এবং বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়ে, তবে স্বর্ণের দাম ৩,৫০০ ডলার/আউন্স পর্যন্ত উঠতে পারে।
২ মে শুক্রবার, বিশ্ববাজারে স্পট গোল্ডের দাম কিছুটা কমে ৩,২৩৫ ডলার হয়েছে। এদিকে ডলার ইনডেক্স বাড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। রুপার দামে তেমন পরিবর্তন না থাকলেও বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপা প্রতি ভরি ২,৮৪৬ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
২০২৫ সালে এ পর্যন্ত দেশে ২৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৯ বার দাম বেড়েছে ও ৭ বার কমেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈশ্বিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকে, তবে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে। ফলে এটি এখন বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি নিরাপদ ও লাভজনক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।