বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি দলের আগমন ঘটেছে। ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নামে এই দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন খ্যাতিমান চিত্রনায়ক ও সামাজিক আন্দোলনকর্মী ইলিয়াস কাঞ্চন, এবং মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
আত্মপ্রকাশের বিবরণ
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলটির নাম ও নেতৃত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়। দলের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘গড়বো মোরা ইনসাফের বাংলাদেশ’, যা ন্যায়বিচার ও সমতার প্রতি দলের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।
দলের নেতৃত্ব
দলের নির্বাহী কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ব্যক্তিদের তালিকা নিম্নরূপ:
- নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র: গোলাম সারোয়ার মিলন
- ভাইস চেয়ারম্যান:
- রফিকুল হক হাফিজ
- সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান
- রেহানা সালাম
- অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
- এম এ ইউসুফ
- সৈয়দা আজিজুন নাহার
- গোলাম মেহরাজ
- ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলাম
- নির্মল চক্রবর্তী
- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব: এম আসাদুজ্জামান
- যুগ্ম মহাসচিব:
- অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা
- আল আমিন রাজু
- অ্যাডভোকেট শিউলি সুলতানা রুবী
- নাজমুল আহসান
- জামাল উদ্দিন
- শাহাদত হোসেন
- আসাদুজ্জামান
- জাকির হোসেন লিটু
- সমন্বয়কারী: নূরুল কাদের সোহেল
- সহ-সমন্বয়কারী: অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন, ফাতেমা বেগম
ইলিয়াস কাঞ্চনের রাজনৈতিক যাত্রা
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘদিন ধরে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। তিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৩ সালে তাঁর স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর থেকে তিনি এই ইস্যুতে জনমত গঠন ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে আসছেন। যদিও বিভিন্ন সময়ে তাঁকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল, এবারই প্রথম তিনি সরাসরি রাজনীতিতে পা রাখলেন।
দলের লক্ষ্য
‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ ন্যায়বিচার, সমতা ও জনকল্যাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কাজ করতে চায়। দলটির নেতৃত্বে অভিজ্ঞ রাজনীতিক, আইনজীবী, সামরিক কর্মকর্তা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে, যা দলের বৈচিত্র্যময় দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক।
নতুন এই দলটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তাদের স্লোগান ও নেতৃত্বের প্রতিশ্রুতি জনগণের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।