বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা প্রায় ২ হাজার ৭৪১ কোটি ডলারের সমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি BPM6 অনুযায়ী হিসাব করলে বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার (২,২০৪ কোটি ডলার)। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রিজার্ভের অবস্থান ছিল প্রায় একই। তবে এরপর কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ার পর বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ সময় থেকে আবারও রিজার্ভ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫.৯২ বিলিয়ন ডলার (BPM6 অনুযায়ী ২০.৪৮ বিলিয়ন)। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ১৪ এপ্রিল তা হয়েছিল ২৬.৩৯ বিলিয়ন ডলার, এবং আইএমএফ পদ্ধতিতে ছিল ২১.১১ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো প্রবাসী আয় বৃদ্ধি। মার্চ মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার, যা এক মাসের হিসেবে সর্বোচ্চ। চলতি এপ্রিল মাসের ২৬ দিনেই এসেছে ২২৭ কোটি ডলার। এতে ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে পারছে, ফলে রিজার্ভ বাড়ছে।
রিজার্ভ বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চাপ কমেছে। ডলারের মূল্য দীর্ঘদিন ধরে ১২২ টাকায় স্থির আছে, যা বাজার স্থিতিশীলতায় সহায়তা করছে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো এখন গ্রাহকদের ঋণপত্র (LC) সহজে খুলতে পারছে, যার ফলে আমদানি, পণ্য সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ডলারের সংকট তৈরি হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে রেমিট্যান্স বাড়ছে এবং ডলারের দামও স্থিতিশীল, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বার্তা।