পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধকরণ: ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর উপর প্রভাব

পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীদের অসুবিধাসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুটি ভারতীয় বিমান সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পটভূমি

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি সশস্ত্র হামলায় একজন নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরকার এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ভারতের পদক্ষেপ

হামলার পরদিন বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারত পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

পাকিস্তানের পালটা পদক্ষেপ

ভারতের এই পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত এবং ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এই পালটাপালটি পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া

এয়ার ইন্ডিয়া

এয়ার ইন্ডিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জানিয়েছে:

পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ করায় উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যগামী বা সেখান থেকে আগত কিছু ফ্লাইট বিকল্প ও দীর্ঘ রুট ব্যবহার করবে। এই অপ্রত্যাশিত আকাশসীমা বন্ধের কারণে যাত্রীদের অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত। গ্রাহক ও ক্রুদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

ইন্ডিগো

ইন্ডিগো ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছে:

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের আকস্মিক ঘোষণায় আমাদের কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট প্রভাবিত হচ্ছে। আমরা এই অসুবিধা বুঝতে পারি এবং আমাদের টিম যত দ্রুত সম্ভব আপনাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আপনাদের ধৈর্য ও সমর্থন আমরা মূল্যায়ন করি।

সম্ভাব্য প্রভাব

আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট বিলম্ব, রুট পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত খরচের মুখোমুখি হতে পারে, যা যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।