দোয়ার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তাআলার সাহায্য লাভ করে এবং বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পায়। কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
“তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।”
(সূরা মুমিন, আয়াত: ৬০)
জীবনের প্রতিটি কাজে যেমন দোয়া প্রয়োজন, তেমনি ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ও দোয়া পড়া নবীজির (সা.) গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এতে আল্লাহর রহমত, হেফাজত ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপত্তা লাভ হয়।
ঘর থেকে বের হওয়ার দোআ:
আরবি:
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, লা হাউলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ:
আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, এবং তাঁরই ওপর ভরসা করছি। গোনাহ থেকে বাঁচার শক্তি ও সৎকাজ করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।
ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এই দোয়া পাঠ করলে ঐ ব্যক্তির জন্য বলা হয়—তুমি হিদায়াতপ্রাপ্ত, আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য যথেষ্ট এবং তুমি নিরাপদ। শয়তান তার থেকে সরে যায়।
(আবু দাউদ: ৫০৯৫, তিরমিজি: ৩৪২৬)
আরও একটি বিশেষ দোআ:
হযরত উম্মু সালামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে এই দোয়া পাঠ করতেন—
আরবি:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ
অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাই—পথভ্রষ্ট হওয়া বা অন্যকে বিভ্রান্ত করা থেকে, পা ফসকে যাওয়া বা অন্যকে ফসকাতে সাহায্য করা থেকে, জুলুম করা বা অন্যের দ্বারা জুলুমিত হওয়া থেকে, এবং মূর্খতা করা বা মূর্খতার শিকার হওয়া থেকে।
(আবু দাউদ: ৫০৯৪, তিরমিজি: ৩৪২৭, ইবন মাজাহ: ৩৮৮৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এ দোয়াগুলো পাঠ করার তাওফিক দিন এবং শয়তানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন। আমিন।