কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একতরফা দোষারোপ করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর মধ্যে অন্যতম হলো, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। ভারতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের সিনেটর ইরফান।
তিনি বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চুক্তি, যা বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোনো দেশ একতরফাভাবে এ চুক্তি থেকে বের হয়ে যেতে পারে না। ভারতের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবেই গণ্য হবে, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক জিও টিভি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সিনেটর ইরফান সতর্ক করে বলেন, তোমরা পাকিস্তানের পানির প্রবাহ বন্ধ করে আমাদের কারবালা বানাতে পারবে না। তিনি ভারতকে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা মেনে চলার আহ্বান জানান।
এদিকে, কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গে পাকিস্তানের আরেক নেতা সিদ্দিকী তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার কাশ্মীরি শহীদ হয়েছেন এবং সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ।
সিদ্দিকী অভিযোগ করেন, কাশ্মীরে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন করতে মুসলিমদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে অমুসলিমদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করে সিদ্দিকী বলেন, মোদি আরএসএসের আদর্শিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, এবং তিনি ‘গুজরাটের কসাই’ হিসেবে পরিচিত। তার শাসনামলে ভারত এক ‘হত্যাকাণ্ডের ময়দানে’ পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তানি নেতারা আরও সতর্ক করেছেন যে, শত্রু পক্ষ চতুর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করতে পারে। তবে, তারা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দুই দেশের মধ্যে আরও আলোচনার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে, যাতে এটি আরও বড় সঙ্কটে পরিণত না হয়।