যশোরের মনিরামপুরে মনগড়া মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট দিয়ে রোগীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দি প্যাথ ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, দি প্যাথে কোনো টেস্ট করাতে গেলে তারা তাদের মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের বাড়তি চাপে ফেলে দেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক রোগী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার শরীর খারাপ ছিল। চিকিৎসক আমার কিডনি টেস্ট করাতে বলেন। আমি ১২ এপ্রিল দি প্যাথে আমার স্যাম্পল দিই। পরে তারা যে রিপোর্ট দেন তাতে আমি অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। যেখানে নরমাল লেভেল থাকে সর্বোচ্চ ১.৩ সেখানে আমার রিপোর্টে আসে ২৫.৭০।
‘আমি সে অনুযায়ী চিকিতসা শুরু করি। কিন্তু দিন দিন আমার শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।’
তিনি বলেন, আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি যশোর ইবনে সিনা থেকে আবারও টেস্ট করাই। সেখানে আমার রিপোর্ট একেবারে নরমাল আসে। আমি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করি।
এ বিষয়ে জানতে দি প্যাথের দেওয়া মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফায়াজ আহমেদ ফয়সাল বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ডায়াগনস্টিকের প্যাথলজি রিপোর্ট একজন দক্ষ চিকিৎসক দ্বারা করাতে হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অটোমেশিনে তারা এসব রিপোর্ট করেন। তবে সেখানে সামান্য কিছু তারতম্য হতে পারে। তবে এতবেশি তারতম্য হওয়ার কথা না।