ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি স্মৃতিচারণ ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি লিখেছেন, “২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্পাসে গেস্টরুম নির্যাতন কিংবা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে যেসব আন্দোলনে আমরা ছিলাম, সেখানে সাম্য ছিল অগ্রণী। মশিউর আমিন শুভ ও সাম্য – এ দুজন সবসময় একসঙ্গে থাকত। প্রথম বর্ষ থেকেই সাম্য ছিল প্রতিবাদী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানে থাকা এবং অসাধারণ ভদ্র একজন মানুষ। সেই ছোট ভাই সাম্য আজ আর নেই – এটি মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।”
আসিফ মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অপরাধচক্র, মাদককারবার ও অনিরাপদ পরিবেশও এ ঘটনার জন্য সমানভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, “উদ্যানটি হওয়ার কথা ছিল স্বস্তির জায়গা, অথচ এখন তা আতঙ্কের নাম। অবৈধ দোকান, মাদক ব্যবসা ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এটি দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমি ঢাবি প্রশাসন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও ডিএমপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী উদ্যানকে নিরাপদ স্থানে পরিণত করবো। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিচ্ছি।”
শেষে তিনি বলেন, “আমরা দুঃখিত সাম্য, তোমাকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তবে আর যেন কাউকে এমনভাবে প্রাণ হারাতে না হয়, তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের দায়িত্ব।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তার দুই সহপাঠী বায়েজিদ ও রাফিও আহত হন। ঘটনার সময় তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ছিনতাইয়ের চেষ্টার জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।