জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগকে ফ্যাসিবাদের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানেই এর চূড়ান্ত পতনের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৯ মে ২০২৫) সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “শুধু সময়ের অপেক্ষা। জুলাইয়ের সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
এর আগে, একই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা দেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবি শোনেনি। তাই আমরা শাহবাগ অবরোধের দিকে যাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল নয়। ১৯৭৪ সালে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের পরিবর্তে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের হাতে এ দেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। ভারতের সহায়তায় তারা দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে।”
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “১০০ ফেরাউন একত্রিত করলেও একজন হাসিনা পাওয়া যাবে না। তবু কেন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল বলা হয়? শুনছি, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোন রাজনৈতিক দল নয়।”
শাহবাগে তীব্র আন্দোলন ও স্লোগান
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় বর্তমানে উত্তাল। আন্দোলনকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
- “ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো”
- “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা”
- “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে”
- “গোলামি না আজাদী, আজাদী-আজাদী”
- “একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর”
- “আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও”
- “২৪ বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই”
- “মুজিববাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না”
- “আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”
আন্দোলনকারীদের এই তীব্র প্রতিবাদ ও স্লোগান শাহবাগকে একটি উত্তপ্ত প্রতিবাদের কেন্দ্রে পরিণত করেছে।