হ্যালো বাংলাদেশ ২৪ নিউজ ১৬ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
সাদেক আহমদ শিকদার:ব্যক্তি মানে মানুষ। ব্যক্তি শব্দটির সাথে ত্ব প্রত্যয়যোগে ব্যক্তিত্ব শব্দটি গঠিত হয়েছে। এখানে ত্ব শব্দটির অর্থ চরিত্র। তার মানে দাঁড়ালো ব্যক্তিত্ব শব্দটির অর্থ ব্যক্তির চরিত্র। যদিও ত্ব প্রত্যয়টির আরো কিছু অর্থ রয়েছে।
ব্যক্তিত্ব কী এবং কেন?
এখন ব্যক্তিত্ব বা ব্যক্তির চরিত্র দু রকমের হতে পারে। যেমনঃ ব্যক্তিত্ববান ও ব্যক্তিত্বহীন। চরিত্র আবার দু রকম। যেমনঃ সচ্চরিত্র ও দুশ্চরিত্র। সচ্চরিত্রের গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিই ব্যক্তিত্ববান হয়। তেমনি দুশ্চরিত্রের গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি ব্যক্তিত্বহীন হয়।
ব্যক্তিত্ববান হবার যথেষ্ঠ প্রয়োজন রয়েছে। নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখবার জন্য, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবার জন্য, সমাজের মানুষের শ্রদ্ধা ও সম্মান পাবার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যক্তিত্ববান হতে হবে। ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তি সমাজের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। সমাজ সংস্কারের জন্য সংগ্রাম করতে পারে। সামাজিক কল্যাণ সাধন করতে পারে। তেমনি ব্যক্তিত্বহীন ব্যক্তি সমাজের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমনঃ একজন সন্ত্রাসীকে আপনি ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেননা সে সমাজে ত্রাসের সৃষ্টি করে, আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সে সমাজের ক্ষতি করে, মানুষ তাকে ভয় করে। এজন্য একজন সন্ত্রাসী কখনোই ব্যক্তিত্ববান হতে পারেনা। তাকে আপনি অবশ্যই ব্যক্তিত্বহীন বলবেন। তেমনি আপনি একজন সৎলোককে ব্যক্তিত্বহীন বলতে পারেন না। তিনি অবশ্যই ব্যক্তিত্ববান।ব্যক্তিত্ব হচ্ছে ব্যক্তির মৌলিক আদর্শ, নিজস্ব মৌলিক চিন্তা ভাবনা, ধ্যান ধারণা ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য। যেগুলো অন্য ব্যক্তিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই মৌলিকত্বের কারণেই ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ব্যক্তিত্বের ধরণ ভিন্নতর হয়। যেমন ধরুণ দুইজন ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তিকে ঘুষ প্রদানে চাপ প্রয়োগ করা হলো। এবং বলা হলো যে, ঘুষ না নিলে দুজনের প্রাণনাশ করা হবে। এখন একজন প্রাণের ভয়ে ঘুষ গ্রহণ করলো। অন্যজন ঘুষ নেয়নি বলে প্রাণ হারালো। এখন যেজন ঘুষ নিলো তাকে এক্ষেত্রে আপনি তাকে ব্যক্তিত্বহীন বলতে পারেন না। কারণ জান বাঁচানোও কিন্তু ফরজ। আবার যেজন ঘুষ না নেওয়ার কারণে প্রাণটা হারালো তার ব্যপারে আফসোস করে লাভ হবেনা। কারণ তার আদর্শটা এভাবেই গড়ে উঠেছে বহুদিন ধরে। মৃত্যুভয় দেখিয়েও তাকে আদর্শ থেকে বিচ্যুত করা যায়নি।
ব্যক্তিত্ব শব্দটা ব্যক্তিত্ববান ও ব্যক্তিত্বহীন এ দুই অর্থে ব্যবহৃত হলেও আমরা ব্যক্তিত্ব শব্দটাকে ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ব্যক্তিত্ব অর্জন করা বা না করা বাল্যকাল থেকে মানসিক বিকাশের উপর নির্ভর করে। অর্থ্যাৎ, বাল্যকাল থেকে মানসিক বিকাশ সাধিত হবার সাথে সাথে ব্যক্তিত্বেরও বিকাশ ঘটে। তার মানে দাঁড়ালো, ব্যক্তিত্বের বিকাশ মানসিক বিকাশের উপর নির্ভরশীল।
বাল্যকাল থেকেই আমরা ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায়, উচিত অনুচিত ইত্যাদি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখি। শিখতে শিখতেই মানসিক বিকাশ হয় আমাদের। তারপর ধীরে ধীরে সেগুলো প্রয়োগ করি। প্রয়োগ করার মাধ্যমেই প্রকাশ পায় ব্যক্তিত্ব। বলা হয় সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। কথাটা ব্যক্তিত্বের বিকাশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।দামি দামি পোশাক পরলেই কিংবা ফর্সা দেহটাকে দামি পোশাক দিয়ে ডেকোরেশন করলেই ব্যক্তিত্ববান হওয়া যায়না। বর্হিজগত ফিটফাট রেখে যদি আপনার অন্তর্জগত সদরঘাট হয় তাহলে সেটাকে কি ব্যক্তিত্ববান বলা যায়? নিশ্চয়ই নয়। গায়ের রং ও দামি পোশাকে ব্যক্তিত্ব (ইতিবাচক অর্থে) প্রকাশ পেতে পারে না। ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় কথা বার্তায়, আচার আচরণে, কাজে কর্মে, মেধা ও মননে।
Santa Anna
Bercelona, Spain
Tel: +34 631 72 10 58
hellobd24news@gmail.com
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতিঃ শিকদার মুহাম্মদ কিবরিয়াহ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতিঃ শাহ নেছার আলী
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ রুহুল আমীন
নির্বাহী সম্পাদকঃ সাদেক আহমদ শিকদার
ব্যবস্হাপনা সম্পাদকঃ রেজাউল করিম (সুমন)