জমে উঠেছে ল্যাকমে ফ্যাশন উইক ২০২৫-এর আসর। গতকাল ২৬ মার্চ সাদা-কালোয় এক রঙিন রাত উপহার দিয়েছেন ডিজাইনার অনামিকা খান্না। তাঁর ক্যানভাসে সাদা-কালোর সঙ্গে ধরা পড়েছে হলুদ, নীল রঙের আঁচড়। আজ ২৭ মার্চ শুরুতেই নজর কেড়েছেন একঝাঁক নবীন ডিজাইনার। তবে ল্যাকমের দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত করেছেন কলকাতার ডিজাইনার অভিষেক রায়। ল্যাকমের এই আসরে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন বাংলার হারিয়ে যাওয়া বাবু সংস্কৃতিকে।
গতকাল রাত থেকে ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের প্রাঙ্গণ। অনামিকা খান্না তাঁর ব্র্যান্ড একওকে-র কালেকশনে রেখেছেন কর্মজীবী নারীদের জন্য বাহারি পোশাক। তাঁর পরিবেশনা সৃষ্টি করে এক ‘মেটালিক’ আবহ। ‘সিলভার কলার’–শীর্ষক এই আয়োজনে উঠে এসেছে সাদা–কালোয় আধুনিক পোশাক। নজর কেড়েছে পোশাকের সঙ্গে মানানসই রুপার অলংকার।
প্রথম রাতটা আরও ঝলমলে হয়ে ওঠে অনন্যা পান্ডের উপস্থিতিতে। এই বলিউড অভিনেত্রীর পরনে ছিল নীল রঙের পালাজ্জো আর সারা শরীর আবৃত ছিল রুপার অলংকারে।
ল্যাকমের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে এনআইএফ গ্লোবাল ‘জেন নেক্সট’ শীর্ষক আয়োজনে নবীন ডিজাইনারদের সম্ভারে ছিল ছেলে ও মেয়েদের ট্রেন্ডি পোশাক। ছেলেদের আয়োজনে নজর কেড়েছে এমব্রয়ডারি, চেক প্রিন্টের রংবেরঙের জ্যাকেট। মেয়েদের জন্য গাউনে ছিল বৈচিত্র্য। এনআইএফ গ্লোবালে শোস্টপার হয়ে র্যাম্পে হেঁটেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। তিনি পরেছিলেন জাম্পস্যুট। তাঁর পোশাকে অভিনবত্ব ছিল পকেট।
এদিন সন্ধ্যায় ‘দ্য বয়েজ ক্লাব’ শীর্ষক আয়োজনে তিন ডিজাইনার পুরুষদের পোশাকের নানান আয়োজন নিয়ে হাজির ছিলেন। জিম থেকে ধুতি-পাঞ্জাবির বাহারি পোশাক সবার নজর কেড়েছে।
অভিষেক রায়ের আয়োজনে ধরা পড়ে বাংলার ‘বাবু সংস্কৃতি’। ধুতি-পাঞ্জাবি, কুর্তা-পাজামা, সিকোয়েন্সের কাজ করা জ্যাকেট, শাল—সব মিলিয়ে আকর্ষণীয় ছিল অভিষেকের প্রদর্শন। বাঙালি এই ডিজাইনারের ডিজাইন করা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে র্যাম্পে হেঁটে চমকে দিয়েছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ।