কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক, যুদ্ধের ইঙ্গিত

Spread the love

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার (২ মে) রাওয়ালপিন্ডিতে স্পেশাল কর্পস কমান্ডার্স কনফারেন্স (সিসিসি) ডাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ভূরাজনৈতিক পরিবেশ, চলমান দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী জেনারেলরা ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা ও সক্রিয় প্রস্তুতির ওপর জোর দেন সেনাপ্রধান। সেনা সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও মনোবলেরও প্রশংসা করেন তিনি।

পেহেলগামে হামলার জন্য ভারত শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। পাল্টা জবাবে ইসলামাবাদ হামলার দায় অস্বীকার করে স্বচ্ছ তদন্তের প্রস্তাব দিলেও তা আমলে নেয়নি দিল্লি। বরং আটারি সীমান্ত বন্ধ, ভিসা বাতিল, এমনকি সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়িয়েছে ভারত।

জবাবে পাকিস্তানও একই কৌশল নিয়েছে। বাতিল করেছে সিমলা চুক্তি, বন্ধ করেছে আকাশসীমা এবং সাময়িকভাবে বাণিজ্য। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোদিকে তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করা হবে।”

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “কাশ্মীর হামলার পর পুরো ভারত ফুঁসছে। জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি সীমান্তে সেনাদের পূর্ণ অভিযান পরিচালনার অনুমতিও দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় ভারতের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তবে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের উত্তেজনা সামরিক সংঘর্ষে রূপ নিলে, তা গোটা অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

Check Also

আব্দুল হামিদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Spread the loveসাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট নেই বলেই গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *