কাশ্মীর সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি সামরিক চৌকিতে সাদা পতাকা উত্তোলন করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
তারার লেখেন, “তদন্ত থেকে পালিয়েছে আগে, এখন ময়দান থেকেও পালিয়েছে।” তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তারা এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
পাকিস্তানের জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তের এলওসি সংলগ্ন চুরা কমপ্লেক্সে ভারতীয় সেনারা সাদা পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তান এই ঘটনাকে ভারতের পরাজয়ের প্রতীক হিসেবে দাবি করেছে।
এদিকে ভারতের মধ্যরাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে “কাপুরুষোচিত আগ্রাসন” আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারতের এই উসকানিমূলক হামলা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।”
ভারতের হামলার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ আসিম মালিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। জিও নিউজের বরাতে জানা গেছে, আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদে কমপক্ষে ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
পাল্টা জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ। জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পাকিস্তান এ হামলার কঠোর, নির্ভুল এবং কৌশলগত জবাব দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
ডন পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতীয় তিনটি রাফায়েল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে।