রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম শাহরিয়ার আলম (২৫)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন।
জানা গেছে, শাহরিয়ার ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। থাকতেন এই হলের ২২২ নম্বর কক্ষে। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায়।
ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া সহপাঠী রাফি জানান,রাত ১২টার দিকে দিকে শাহরিয়ার উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলের সাথে তাঁর মোটসাইকেলটির ধাক্কা লাগে।
তিনি জানান, পরে ওই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যক্তিদের সাথে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অজ্ঞাত ও সাত থেকে আটজন এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নিরাপদ ঢাবির দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। দিবাগত রাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসে ওই মিছিল করা হয়। এ ছাড়া ছাত্রদলের পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এর বিচার ও ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল।