বৃহস্পতিবার (২২ মে, ২০২৫) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত দেশের উন্নয়ন, সংস্কার ও জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিম্নে সিদ্ধান্তগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
১. মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫:
বৈঠকে ‘মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিংয়ের পর এই খসড়া চূড়ান্ত রূপ পাবে। এই অধ্যাদেশ মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২. বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস নৌ-প্রতিরক্ষা সহযোগিতা:
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই সহযোগিতা দেশের নৌ-প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতে সহায়ক হবে।
৩. সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন:
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশগুলোর মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়গুলোর ওপর দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এসব সুপারিশের বাস্তবায়নযোগ্যতা, সময়সীমা এবং সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
৪. জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ:
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিংয়ের পর এই খসড়া চূড়ান্ত রূপ পাবে। এই অধ্যাদেশ শহিদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ এবং পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৫. সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫:
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। এই খসড়াও লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিংয়ের পর চূড়ান্ত হবে। এই অধ্যাদেশ সরকারি চাকরির কাঠামো ও নীতিমালায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, সংস্কার, এবং জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সমন্বয়কারী ভূমিকা পালন করবে।