বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে দুর্নীতির মামলায় খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। এই রায়ে তারেক রহমান সব মামলায় দণ্ড ও সাজামুক্ত হলেন।
মামলার বিবরণ
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে নয় বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। তারেকের জন্য তিন কোটি টাকা এবং জুবাইদার জন্য ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
হাইকোর্টে আপিল
- ১৩ মে ২০২৫: জুবাইদা রহমানের আপিলে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করা হয়।
- ১৪ মে ২০২৫: তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করা হয় এবং তাকে জামিন দেওয়া হয়।
- ২৬ মে ২০২৫: শুনানি শেষে ২৮ মে রায়ের দিন ধার্য হয়।
- আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান, আপিলের পক্ষে এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
আইনজীবীর যুক্তি
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, তারেক রহমানের নামে দেখানো সম্পত্তি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বা অবৈধ নয়। সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাড়ি এবং গুলশানের সম্পত্তি সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এই বিচারকে “প্রহসন” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
পটভূমি
২০০৮ সালে তারেক রহমানের সঙ্গে ডা. জুবাইদা লন্ডনে যান। ২০২৫ সালের ৬ মে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন। এই রায় তাদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
উপসংহার
হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন। এটি বিএনপির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।