মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা নীতি: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বাজারে অসাধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান যোগসাজশের মাধ্যমে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং প্রতিযোগীদের দমিয়ে রাখতে কম দামে পণ্য বিক্রি করে তাদের বাজার থেকে বিতাড়িত করছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রয়োজন।
একই সঙ্গে তিনি ভোক্তাদের জিম্মি করে এবং ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপার্জনকারীদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন। তিনি ব্যবসায়ীদের দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং দেশের সম্পদের ন্যায্য বণ্টনের জন্য কাজ করতে হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিগত ১৫ বছরে এই কমিশনসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, “মানুষ চায় তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিযোগিতার সুফল। প্রতিযোগিতা কমিশনকে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে এবং বাজারের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের কিছু কার্যকর পদক্ষেপের ফলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, এবং অন্যান্য খাতেও ধীরে ধীরে সাফল্য দেখা যাচ্ছে।
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, কমিশন শুধু জরিমানা আরোপ করে না, বরং ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম প্রতিযোগিতা থেকে সুরক্ষা দেয়। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো সিন্ডিকেট ভেঙে সকল কোম্পানির জন্য সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা।” তিনি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা নীতি: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান যোগসাজশের মাধ্যমে ছোট ব্যবসাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং কম দামে পণ্য বিক্রি করে প্রতিযোগীদের বাজার থেকে বিতাড়িত করছে। এসব অসাধু প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি ও ভোক্তাদের জিম্মি করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি উল্লেখ করেন। ব্যবসায়ীদের দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা ও সম্পদের ন্যায্য বণ্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে এই কমিশনের সক্ষমতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, ফলে জনগণ এর পূর্ণ সুফল পায়নি। তিনি বলেন, “মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিযোগিতার সুবিধা চায়। কমিশনকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং বাজারের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা নষ্ট করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এবং অন্যান্য খাতেও ধীরে ধীরে সাফল্য দেখা যাচ্ছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, প্রতিযোগিতা কমিশন শুধু জরিমানা করে না, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম প্রতিযোগিতা থেকে সুরক্ষা দেয়। তিনি বলেন, “সিন্ডিকেট ভেঙে সকল কোম্পানির জন্য সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা আমাদের মূল লক্ষ্য।”
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও ইউএনডিপি’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিআইডিএস’র পরিচালক ড. এ কে এনামুল হক, কমিশনের সদস্য (আইন) ড. আফরোজা বিলকিস, এফসিডিও’র ইকনোমিক অ্যাডভাইজর ইসাম মোসাদ্দেক এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারাত্নে। কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।