ইরানের পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা যুক্তরাষ্ট্রে আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছে প্রভাবশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইন্সি ইনস্টিটিউট। তাদের মতে, এখন এই বিরোধিতা মূলত কিছু রক্ষণশীল রাজনীতিক ও ইসরাইলপন্থি গোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
জনগণ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে
তেহরান টাইমস-এ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের বড় অংশ—এমনকি রিপাবলিকানদের মধ্যেও—ইরান ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানকে সমর্থন করছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি শুধু চরমপন্থিদের মতামতের ওপর নির্ভর করে, তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
চরম দাবির পেছনে উদ্দেশ্য: আলোচনা রুদ্ধ করা
ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের কিছু চরমপন্থি নেতা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংসের দাবি জানালেও গবেষক সিনা তুসি একে অবাস্তব ও উসকানিমূলক বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, এর মূল উদ্দেশ্য হলো আলোচনার পথ বন্ধ করে দেওয়া।
জরিপে সমর্থনের প্রমাণ
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ আমেরিকান এবং ৬৪ শতাংশ রিপাবলিকান ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমঝোতার পক্ষে। বিরোধীরা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাম্প শিবিরেও ভিন্নমত
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তি—যেমন স্টিভ ব্যানন, মার্জোরি টেলর গ্রিন ও টাকার কার্লসন—ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর বিপক্ষে। তাদের মতে, এমন সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন বাস্তবতা
সৌদি আরবসহ অনেক মধ্যপ্রাচ্যীয় দেশ, যারা আগে ইরানবিরোধী ছিল, এখন শান্তিপূর্ণ আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষাই এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ।
সম্ভাব্য সমঝোতার সুযোগ
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ট্রাম্প ইরানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে একটি বাস্তবসম্মত ও যুদ্ধবিহীন চুক্তি সম্ভব। তবে যুদ্ধপন্থী গোষ্ঠীর ভুল তথ্য এই সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে।