বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ৪৩ জন সিনেটর ও এমপি।
বুধবার (২১ মে) পাঠানো ওই চিঠিতে তাঁরা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন—অবিলম্বে নির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা, ‘জুলাই বিপ্লব’-এর ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ভেঙে দেওয়া।
চিঠিতে বলা হয়, এসব পদক্ষেপে বিলম্ব বা অস্পষ্টতা জনআস্থার সংকট সৃষ্টি করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করতে পারে। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বাংলাদেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেন, তারা “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহযোগিতা ও সমর্থনে প্রস্তুত।” তারা আশা প্রকাশ করেন, এই ক্যালেন্ডার বছরের মধ্যেই একটি অবাধ ও আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
র্যাব প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়, বাহিনীটি বহু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম এবং নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে র্যাব কর্তৃক ২,৬৯৯ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়।
চিঠিতে র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ তুলে ধরে অস্ট্রেলীয় সরকারকেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে, ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ এবং স্বাধীন তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে।
চিঠিতে যেসব অস্ট্রেলীয় এমপি ও সিনেটর স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিনেটর লারিসা ওয়াটার্স, সিনেটর ডেভিড শোব্রিজ, সিনেটর জর্ডন স্টিল-জন, সিনেটর ফাতিমা পেম্যান, সিনেটর মেহরিন ফারুকি, এমপি মাইকেল বার্কম্যানসহ মোট ৪৩ জন আইনপ্রণেতা।