ভারতের পাঠানো ৭৭টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের মধ্যে এসব ড্রোনকে ভূপাতিত করা হয়।
শুক্রবার (৯ মে) পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম পিটিভি ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, ৮ মে পর্যন্ত পাকিস্তান ২৯টি ড্রোন গুঁড়িয়ে দেয়, এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৮টি ড্রোন গুলি করে নামায়, মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৭টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ভারতের ‘আগ্রাসন’ মোকাবিলায় ‘প্রত্যুত্তরমূলক জবাব’ দিচ্ছে এবং সীমান্তে সক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই হামলা ও পাল্টা প্রতিরক্ষা ভারতের “আতঙ্ক ও কৌশলগত বিশৃঙ্খলার” বহিঃপ্রকাশ। তাদের ভাষায়, “শত্রু পক্ষের পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে সফট-কিল ও হার্ড-কিল সমন্বয়ে সব ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।” ইতোমধ্যে গুলি করে ধ্বংস করা ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) রাত দেড়টার দিকে, ভারতের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি শহরে একযোগে হামলা চালানো হয়। ভারত জানায়, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই তারা এই অভিযান চালায়।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের হামলায় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভূপাতিত হওয়া বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি রাফায়েল জেট, একটি মিগ-২৯, একটি এসইউ যুদ্ধবিমান এবং একটি হেরন যুদ্ধ ড্রোন।
তিনি বলেন, জম্মু, আখনুর, শ্রীনগর এবং অবন্তীপুরা এলাকায় এই বিমান ও ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে।
এছাড়া, ভারতের হামলায় পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে এক শিশু, ৭ নারী ও ৪ পুরুষ। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।